মাত্র ৯৫ হাজার টাকার দিয়ে ব্যাটারির প্লান্ট থেকে আয় করুন মাসে ২০-৩০ হাজার টাকা

আজ কাল রাস্তাঘাটে চলতে গেলে ব্যাটারি চালিত অটো/ইজিবাইক ছাাড়া চলাচল করা কল্পনা করা যায় না। আর এই সকল ব্যাটারি চালিত যানবহন গুলোতে DM পানি প্রয়োজন হয়। আপনি চাইলে এই DM পানির প্লান্ট করে স্বাবলম্বী হতে পারেন। মাত্র ৯৫ হাজার টাকা ইনভেস্ট করে আয় করতে    পারেন মাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা। শুরুতে খটকা লাগলেও সম্পূর্ণ লেখাটি পড়লে বুঝতে অসুবিধা থাকার কথা নয়।

DM পানি কি শুধু ব্যাটারিতে ব্যাবহার হয়?

না, DM পানি শুধু ব্যাটারি ছাড়াও অনেক কাজে ব্যবহার হয়। যেমন:-

  • ১।ওষুধ তৈরির কাচামাল হিসেবে ।
  • ২।যেকোনো ল্যাবরেটরির পরীক্ষার কাজে।
  • ৩। ডিটারজেন্ট বা সাবান জাতীয় পণ্য তৈরিতে।
  • ৪।কসমেটিক্স জাতীয় পণ্য তৈরীতে।
  • ৫। বয়লার এর স্টিম করার কাজে।
  • ৬। ইলেক্ট্রনিক পণ্য উৎপাদনের কাজে।
  • ৭। একুরিয়ামে ব্যবহার হয়।
  • ৮। লেজার কাটিং বা কুলিং এ ব্যবহার হয়।
  • ৯। আগুন নেভাতে ব্যবহার হয়।
  • ১০। গাড়ী বা জানালা পরিষ্কারের কাজে ব্যবহার হয়। ।
  • ১১। স্বয়ংচালিত যে কোনো যন্ত্রাংশে ব্যবহার হয়। ।
  • ১২। জ্বালানী কোষের অপটিমাইজেশন।
  • ১৩। প্রিন্টিং এর কাজে ব্যবহার হয়। ।
  • এগুলো ছাড়াও আরো অনেক কাজে DM Water প্রয়োজন হয়।

DM Water কী বা কাকে বলে?

DM এর পূর্ণরূপ হলো Demineralized Water. যে সকল পনিতে মিনারেল/খনিজ/আয়ন নেই সে সকল পানিকে DM Water বলে।

DM Water এর মান কেমন হয়?

ব্যবহার ভেদে DM Water এর মান ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। তবে সাধারণত TDS (Total Dissolved Solids) এর মান ০ থেকে ১০ এর মধ্যে থাকে।

কম খরচে কি DM Water Plant করা সম্ভব?

হ্যাঁ, কম খরচে DM Water Plant করা সম্ভব। বাণিজ্যিকভাবে ছোট পরিসরে করতে DM Plant করতে হলে ১ লাখ থেক ১ লাখ ২০ হাজার টাকার বাজেট করতে হবে।

কোথা থেকে করাবেন DM Plant?

বাজারে অনেকেই DM Plant সেটাপের চটাকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। তবে Waterlogicbd অত্যন্ত সফলভাবে কম খরচে সারাদেশে DM Plant সেটাপ কাজ করে আসছে। তাদের অফিসের ঠিকানা:- বাসাবো টেম্পু স্ট্যান্ড, ইসলামী ব্যাংক এর বিপরীতে ২য় তলায়,সবুজবাগ, ঢাকা-১২১৪। এছাড়া  ফেসবুক পেজ Waterlogicbd ও  ওয়েবসাইটের মাধ্যমে waterlogicbd যোগাযোগ করতে পারেন। ইমো/হোয়টসআপ 01711135883.

টেকনিকাল জ্ঞান নাই ব্যবসা করব কিভাবে ?

যারা ইতিপূর্বে এই ব্যবসা করে সফল হয়েছেন কারোরই টেকনিক্যাল জ্ঞান ছিলনা। আমাদের সুদক্ষ ইন্জিনিয়ার/টেকনিশিয়ানদের সরাসরি প্রশিক্ষণ ও তত্বাবধানে তারা দক্ষতা অর্জন করেছেন। আশা করি একইভাবে আপনিও সফল হবেন।

কিভাবে ব্যবসা শুরু করবেন?

প্রথমে Waterlogicbd সাথে যোগাযোগ করে তাদের থেকে বিস্তারিত ধারণা নিন অথবা তাদের অফিস ভিজিট করুন। অফিসে যাওয়ার সময় অবশ্যই আপনার উৎস পানির স্যম্পল নিয়ে যাবেন।

শুরুতে কত খরচ হবে?

­­­*প্লান্ট খরচ ৯৫ হাজার টাকা

* ৫ লিটার জার/ক্যান ৫০০ পিছ * ২২ টাকা দর= ১১ হাজার টাকা।

* স্টিকার খরচ ১০০০ পিছ* ২ টাকা করে = ২০০০ টাকা

মাসিক কত খরচ হবে?

#প্রতিমাসে ফিল্টার চেন্জ, ক্যমিক্যাল ও ইলেকট্রিক খরচ মাসে ১০০০-২০০০ টাকা।

প্রতিমাসে লাভ কত হতে পারে?

৫ লিটার ক্যানে উৎপাদন ব্যয় হবে সাকুল্যে ২৫ থেকে ২৮ টাকা। প্রতি ৫ লিটার জার বাজারে খুচরা বিক্রি হয় ৭০ থেকে ১০০ টাকা।আর পাইকারি বিক্রি হয় ৩৫ থেকে ৪৫ টাকা। প্রতিদিন যদি ১০০ টি জার সেল দেয়া যায় ,এবং পাইকারি সেল হিসেব করলেও ১০০*১০(মিনিমাম লাভ ধরে)=১০০০ টাকা । মাসে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা অনায়াসে আয় করা সম্ভব।অর্থাৎ ঠিকঠাক ব্যবসা পরিচালনা করতে পারলে মাত্র ৩ থেকে ৪ মাসে বিনিয়োগের টাকা উঠে আসবে।

 

 

Water logic bd

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are makes.